Library

লাইব্রেরি

নানা ধরনের বইয়ের সংগ্রহশালাকে বলা হয় গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারে সঞ্চিত থাকে মানুষের যুগ-যুগান্তরের চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা ও জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ, যা মানুষের জ্ঞানের অতৃপ্ত তৃষ্ণাকে তৃপ্ত করে। সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয় বলে গ্রন্থাগারকে বলা হয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’। কোনো দেশ বা জাতির উন্নত চিন্তা-চেতনা ও মনন গড়ে তুলতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অতুলনীয়। মানুষের শারীরিক রোগের মুক্তির জন্য যেমন প্রয়োজন হাসপাতালের, তেমনি মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন গ্রন্থাগারের। মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই মূলত গ্রন্থাগারের উৎপত্তি। গ্রন্থাগার হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়। ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার গড়ে উঠে ব্যক্তির অভিরুচি অনুযায়ী। আবার পারিবারিক গ্রন্থাগারে পরিবারের সদস্যদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রন্থ সংগৃহীত হয়। আর সাধারণ গ্রন্থাগার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূলত শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী গ্রন্থাগার গড়ে উঠে। গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রন্থাগারে পাঠক সহজেই তার পছন্দের বই পেতে পারে। একঘেয়ে ক্লান্ত জীবনে বই এনে দেয় প্রাণস্পন্দন। একটি ভালো বই ভালো মানুষ গড়ে তুলতে বিশেষ অবদান রাখে। নৈতিক অধঃপতন থেকে ভালো বই ও ভালো গ্রন্থাগার মানুষকে রক্ষা করতে পারে। একটি জাতির মেধা-মনন, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালন-পালন করে গ্রন্থাগার। তাই জাতিকে উন্নত, শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের অবদান অসামান্য। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। কেননা, মৌলিক চাহিদা মেটাতেই আমরা যেখানে হিমশিম খাই, সেখানে আমাদের পক্ষে বই কিনে পড়া অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক প্রতিদিনের টিফিন-পিরিয়ড বা অন্য অবসর সময়টা আড্ডা ও গল্প-গুজবের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু একটা গ্রন্থাগার থাকলে ছাত্র-শিক্ষক তাদের প্রতিদিনের অবসর সময়টা পড়ালেখায় কাটাতে পারেন। গ্রন্থাগার হচ্ছে এক রকম মনের হাসপাতাল। এখান থেকে মানুষ স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হতে পারে। তাই মানবজীবনে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি পাঠ্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত ১০,০০০ (দশ হাজার) বই এবং জার্নাল সমৃদ্ধ শিততাপ নিয়ন্ত্রিত একটি বিশাল গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেছে যেখান থেকে সকল ছাত্র-ছাত্রী তাদের প্রয়োজনীয় বই আই.ডি কার্ড ব্যবহার করে বাসায় নিতে এবং গ্রন্থাগারে বসে পরতে পারে।

সকল টেকনোলজি