House 54 Rd No. 15A, Dhaka 1209
2022-02-23 07:36:27
আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি কোর্স যেটি পরিবেশবান্ধব, প্রযুক্তি নির্ভর আবাসান পরিকল্পনা, নকশা, নিমার্ণ, অপারেশন সম্পর্কিত শিক্ষা কার্যক্রম এবং নিমার্ণ ব্যবস্থাপনা করে। একজন আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ার টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব, বাস উপযোগী ভবন ও কাঠামোর বাস্তব ডিজাইনার। তিনি পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য বিবেচনায় রেখে মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, খেলার মাঠ, ব্রিজ, রাস্তা, পার্ক, ভাস্কর্য ইত্যাদি নকশা করেন। এছাড়া তিনি ডিজাইন গ্রাহকদের সঙ্গে একটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয়তা, বাজেট পর্যালোচনা, পূর্ব নির্ধারিত কাজের সার্ভিসগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই, পরিবেশগত প্রভাব, সাইট নির্বাচন ইত্যাদি প্রয়োজনীয়তাগুলো নির্দিষ্ট করেন। ডিজাইন গ্রাহককে একটি ডেমো স্ক্রেচ প্রস্তুত, বিল্ডিং কোড অনুসরণ, অগ্নী নির্বাপক এবং অন্যান্য অধ্যাদেশ পর্যালোচনা, পরিবর্তন ও পরিকল্পনার সুপারিশ করেন। একজন আর্কিটেক্ট হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন, রিয়েল এস্টেট কোম্পানী, যে কোন সরকারি/বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে উপ-সহকারী আর্কিটেক্ট, প্রজেক্ট সুপারভাইজার/ডেভেলপার হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার প্রাচীনতম শাখা, এর ক্ষেত্র হল বিভিন্ন কাঠামোর নকশা এবং নির্মান করা, সেগুলি হতে পারে বিল্ডিং, রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর, সেতু, পানি সরবরাহ, নিস্কাশন ব্যবস্থা, বাধ, পোতাশ্রয়, রেলপথ, ফেরিঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, এমনকি হতে পারে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে থাকেন যেমন কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার, সেচ ইঞ্জিনিয়ার, ভূ প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়ার, পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ার, এবং গণপূর্ত ইঞ্জিনিয়ার।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অফিস এবং মাঠ উভয় পর্যায়ে কাজ করতে হয়। চুক্তিকারী এবং পরামর্শক ইঞ্জিনিয়ারদেরকে একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে হয়। তাদেরকে দুর্যোগ প্রশমন এবং ব্যবস্থাপনার মত সংকটময় পরিস্থিতির সমাধানও করতে হয়।
নির্মাণ প্রকৌশলীরা তেল গ্যাস, বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা অথবা বাড়ির নকশা এমন ভাবে তৈরি করেন যাতে নির্মাণ কাঠামোটি যে ভার বহনের জন্যে তৈরি করা হয়েছে তা নিশ্চিৎ করা যায়। তারা নতুন নতুন নির্মাণ সামগ্রী ও কৌশল উদ্ভাবন করে থাকেন যেমন- বিশেষ ধরণের সেতু কাঠামো ও বিশেষ ধরণের বিল্ডিং কাঠামো ইত্যাদি।
হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগণ সাধারণতঃ রাস্তা ঘাটের পুননির্মাণ,ট্রাফিক, গলি, পার্কিং স্পেস ইত্যাদির পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন। হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগন প্রধানত রাস্তা নির্মান এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজের সাথে জড়িত।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
কম্পিউটার, ইন্টারনেট এর যুগে চরম উৎকর্ষতার পিছনে যার অবদান শতভাগ তা হচ্ছে বিদ্যুৎ প্রযুক্তি।
দীর্ঘদিন প্রকৌশল শাখার সকল স্তরে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির চাহিদা ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির একজন প্রকৌশলীর কর্মক্ষেত্র অত্যন্ত ব্যাপক। আইটি সেক্টর, বিটিসিএল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে, বিভিন্ন মটর চালিত কলকারখানা, গার্মেন্টস সেক্টর, বিদ্যুৎ জেনারেশন, ট্রান্সমিশন ও ডিসট্রিবিউশন সহ, বৈদ্যুতিক কেবল ইন্ডাষ্ট্রি, বৈদ্যুতিক এ্যাপ্লায়েন্স তৈরির কারখানা, মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ প্রকৌশল জগতের সকল পর্যায়ে রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলীর কর্ম পরিধি। পলিটেকনিক থেকে পাশ করা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গণ ”উপসহকারী প্রকৌশলী” হিসেবে বিভিন্ন শিল্পকারখানা সহ বহুবিধ সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। বিদেশেও ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলীর চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। এছাড়াও ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ডুয়েট, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বহুশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
কম্পিউটার আধুনিক বিশ্বের এক বিস্ময়। এমন কোন কাজ নেই যার সমাধান কম্পিউটারের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব নয়। যেসকল কাজ মানুষের পক্ষে করা কষ্টসাধ্য, কম্পিউটার আবিস্কারের পর সেসব অনেক সহজ ও দ্রুত হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত কম্পিউটারের অপারেশন পরিবর্তিত হচ্ছে এবং আরও অত্যাধুনিক হিসেবে রুপ নিচ্ছে। আগামী দিনে এ কম্পিউটার আমাদেরকে দিবে আরও নতুন বিস্ময়কর উপহার। তাই কম্পিউটার প্রকৌশলীদের নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়ার ডিজাইন, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া সহ ইন্টারনেট, আইসিটি সেক্টর, ব্যাংকিং সেক্টর, চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষি ক্ষেত্রে, মহাকাশ গবেষনা, ই-কমার্স, ই-গভর্নেন্স, পরিবেশ ও আবহাওয়া, শিক্ষাক্ষেত্রে, অপটিক্যাল ফাইবার কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন, বিভিন্ন শিল্পকারখানার অটোমেটিক কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনায় কম্পিউটার প্রকৌশলীর বিশ্বমানের চাকুরীর সুবিধা রয়েছে।
৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করার পর দেশে বিদেশে Computer Software Company গুলোতে Assistant Programmer পদে, সরকারি বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের Hardware Engineering and Assistant Networking Administrator পদে, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে Maintenance and IT Officer পদে, বিভিন্ন Print Media and Electronics Media তে Graphics Designer, Hardware Engineering, Animation, Programmer and Network Engineering পদে প্রচুর চাকরির সুযোগ আছে।
এছাড়াও উচচ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ডুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি রয়েছে। প্রায় সকল প্রকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র আগ্রহ, প্রচেষ্টা, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা কাম্য।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং - দেশের ১২ হাইটেক পার্কে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ
===============================
সারাদেশে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। পার্কগুলো তৈরির কাজ শেষ হলে সেখানে বিপুল সংখ্যক বেকারের কর্মস্থানের ব্যবস্থা হবে। এসব হাইটেক পার্কে কর্মস্থানে এগিয়ে থাকবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞগণ। ২০৩০ সাল নাগাদ এসব হাইটেক পার্ক থেকে এক হাজার (১০ বিলিয়ন) কোটি ডলারের সফটওয়্যার ও সেবা রফতানি করা সম্ভব হবে।
===============================
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। পিপিপি মডেলে বাস্তবায়নের জন্য ৩৫৫ একর জমির মধ্যে ২৩২ একর জমি ৫টি ব্লকে ভাগ করে উন্নয়নের লক্ষ্যে দুটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৩ নম্বর ব্লকে একটি মাল্টি টেনেন্ট বিল্ডিং, ২ নম্বর ব্লকে ১টি এমটি বিল্ডিং এবং ৫ নম্বর ব্লকে একটি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে। পার্কটিকে কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে মৌলিক অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
===============================
যশোরে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ১৫তলা ভবনের প্রথম থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত ৪টি ফ্লোর গত ৯ জুন ১২টি আইটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভবনের অবশিষ্ট অংশসহ ডরমিটরি ভবন, ক্যান্টিন ও এমপিথিয়েটারের নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সাব-স্টেশন ও জেনারেটর বিল্ডিং, ৩৩ কেভিএ সাব স্টেশন, ৩৩ কেভিএ লাইন, ফাইবার অপটিক লাইন এবং অ্যাপ্রোচ রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
===============================
সিলেটে ১৬২ দশমিক ৮৩ একর জমিতে পিপিপি মডেলে সিলেট ইলেকট্রনিক সিটি তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে। সিলেট ইলেকট্রনিক সিটির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি গত ৮ মার্চ অনুমোদিত হয়েছে। ‘ডেডিকেটেড’ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের সাইট সার্ভে, সয়েল টেস্টও শেষ হয়েছে।
===============================
নাটোরে তৈরি হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। পরিত্যক্ত জেলখানায় ব্যবহারযোগ্য পুরনো ভবনগুলো মেরামত ও আধুনিকায়ন করে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে সেন্টারটি। এরইমধ্যে ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
===============================
রাজধানীর কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ার হলো সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ওই ভবনের চতুর্থ তলাটি বিভিন্ন কোম্পানিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৬টি প্রতিষ্ঠান সেখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
===============================
রাজশাহীর পবার নবীনগরে গড়ে উঠছে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি। ৩১ একর জমিতে একটি আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদিতও হয়েছে।
===============================
হাইটেক পার্ক নিয়ে দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে। স্বল্প খরচে জায়গা, নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ, উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা এবং উন্নত যাতায়াত সুবিধা থাকাসহ বিভিন্ন কারণেই এসব পার্কের প্রতি সবার আগ্রহ। তাই ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি-তে ( বাংলাদেশ সরকার ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত) ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স হতে পারে নিজেকে সাবলম্বী ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গঠনের লক্ষ্যে সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত।
আই.এস.টি পরিচিতিঃ
১৯৯৩ সালে ধানমন্ডির নিরিবিলি পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি অলাভজনক, বেসরকারী, অরাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (আই.এস.টি)- যার উদ্বোধন করেন প্রয়াত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম। জন্মলগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠান দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারের উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। আই.এস.টি থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীগণ বর্তমানে দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমরা বিশ্বাস করি , “Education is a Commitment, Not a Business.”