31
১৯৯৩ সালে ধানমন্ডির নিরিবিলি পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি অলাভজনক, বেসরকারী, অরাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (আই.এস.টি)- যার উদ্বোধন করেন প্রয়াত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম। জন্মলগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠান দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারের উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। আই.এস.টি থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীগণ বর্তমানে দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমরা বিশ্বাস করি , “Education is a Commitment, Not a Business.”
এস.এস.সি’র পর ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কেন?
মানব সভ্যতার ইতিহাস যুগে যুগে ইঞ্জিনিয়ারিং এর অগ্রগতির ইতিহাস। মানুষের জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের নিত্য নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবন, জটিল গণিতের সূত্র আর নীতি গুলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াই ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান সভ্যতার নিমার্ণে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। তাই ক্যারিয়ার হিসাবে কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষা বেছে নেয়াটাই যুক্তিপূর্ণ। এছাড়া বর্তমান বিশ্বে চাকরির বাজার এতটাই প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি গ্রহণ করেও চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুস্কর হয়ে পড়ে। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তার ক্যারিয়ার শুরু করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীই পারেন আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে, বেকারত্ব দূর করতে। চাকরির পাশাপাশি তিনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত হতে পারেন।
আই.এস.টি -এর বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত উপদেষ্টামন্ডলী। দেশে-বিদেশে উচ্চ ডিগ্রীধারী ও ট্রেনিং প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, ক্লাশরুম ও বিষয়ভিত্তিক ল্যাব সমূহ। সবার জন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সুবিধা। সার্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা। উচ্চতর শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে নিয়মিত শিক্ষার্থী কাউন্সেলিং। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহন।নিয়মিত ক্লাশের বাইরেও প্রয়োজনে রিভিশন ক্লাশ। প্রতি ১০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একজন তত্ত¡াবধায়ক শিক্ষক। সকল শিক্ষার্থীদের রেকর্ড সংরক্ষণসহ অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ।
আই.এস.টি থেকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান
আই.এস.টি থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীগন বর্তমানে আই.এস.টি’সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজ করছে। এছাড়াও দেশ বিদেশের সরকারি-বেসরকারি অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছে। আই.এস.টি’র ছাত্র-ছাত্রীদের একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, জার্মানী, মালয়েশিয়া, জাপান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়ন ও কর্মরত।
আই.এস.টি শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম
একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্থ মানবিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আই.এস.টি নিম্নোক্ত শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
-
প্রতি সেমিস্টারে বিভিন্ন প্রকার সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ব্যবস্থা।
-
প্রোগ্রামিং ক্লাব অব আই.এস.টি (পিসি আইএসটি) এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা।
-
ইলেক্ট্রনিক্স, কমিউনিকেশন এন্ড রোবটিকস্ ক্লাব অব আইএসটি (ইসিআরসি) এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা।
-
ডিবেটিং ক্লাব অব আইএসটি এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা।
-
বনভোজন , শিক্ষা সফর, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা।
আর্থিক সুবিধাদি
-
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ অর্জনকারীর পরবর্তী সেমিষ্টারে মাসিক বেতন ১০০% ছাড়।
-
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর উপরে অর্জনকারী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের যথাক্রমে ৪০%, ৩৫% ও ২৫% মাসিক বেতন পরবর্তী সেমিষ্টারে ছাড়।
-
মেয়েদের জন্য টিউশন ফি’র ২০% ছাড়।
-
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহোদর কোটায় বয়োজ্যেষ্ঠ জনের সেমিস্টার ফি ৫০% ছাড়।
-
মেধাবৃত্তি (এসআর এবং আরএইচ ফান্ড থেকে)। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির ব্যবস্থা (আর্থিক সুবিধাদি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নূন্যতম ৮০% ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে)
......